খুলনার টুটপাড়া মেইন রোডের বাসিন্দা খন্দকার সাজ্জাদ আলী। জন্ম ১৯৫১সালের ১২ জুলাই। পিতা মৃত খন্দকার জোয়াদ আলী ও মাতা মৃত সালেহা বেগম। তিন ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। ১৯৭১ সালে এমএম সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
মে মাস নাগাদ শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের অত্যাচার বৃদ্ধি পেলে শহর ত্যাগ করে গ্রামে যান। সেখান থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বশীরহাট ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা তাকে কয়েকদিন টেট্টা ক্যাম্পে থাকার পরামর্শ দেন। কয়েকদিন পর টুটপাড়ার অধিবাসী শেখ আব্দুস সাত্তার (পরবর্তীতে এ্যাডভোকেট)সহ কয়েকজন দেরাদুন সেনানিবাসে যান। সেখান থেকে টা-ুয়ায় ক্যাম্পে পৌঁছালে খুলনার লিডার মো. আবু জাফর, মো. মনিরুজ্জামান মনি (পরবর্তীতে খুলনার মেয়র) ও হাজী মহসীন রোডের জেয়ার্দ্দার রসুল বাবুর সাথে দেখা হয়। টা-ুয়ায় প্রশিক্ষণ শেষে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে লিডার মোল্লা মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে দেবহাটা সীমান্ত দিয়ে পাইকগাছার পাতড়াবুনিয়া বিএলএফ হেডকোয়ার্টারে পৌঁছান।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পাইকগাছার কপিলমুনিতে রাজাকারদের সাথে সম্মুখসমর যুদ্ধ ও ১৪ ডিসেম্বর গল্লামারীস্থ রেডিও সেন্টার দখলের যুুদ্ধে অংশ নেন। খুলনার মাটিতে স্বাধীনতার পতাকা ওড়ার পর আযমখান কমার্স কলেজ ক্যাম্পে উপস্থিত হলে বৃহত্তর খুলনা মুজিব বাহিনীর প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকুর নির্দেশনায় নিউজপ্রিন্ট মিলে ক্যাম্প স্থাপন করে খালিশপুরের আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র জমা দেন।
২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তেকাল করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য জাতি গর্বিত।
খুলনা গেজেট/এএজে